৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জাতীয় বৃত্তি পোর্টালে আবেদন সম্পূর্ণ করার আহ্বান; সরকারি সহায়তায় পিছিয়ে পড়া সমাজের শিক্ষায় নতুন দিশা
জনসংযোগ শিলচর, জুলাই ২৪ জুলাই: শিক্ষা ও আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দিতে অসম সরকারের এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপে তপশিলি জাতি (SC) ও অনগ্রসর শ্রেণি (OBC)-এর ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২০২৫–২৬ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-ম্যাট্রিক ও পোস্ট-ম্যাট্রিক বৃত্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
রাজ্যের তপশিলি ও অনগ্রসর শ্রেণির কল্যাণ পরিদপ্তরের উদ্যোগে এই বৃত্তির আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয়েছে ১ জুলাই থেকে এবং জাতীয় বৃত্তি পোর্টাল (NSP)-এর মাধ্যমে চলবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে এবং শেষ মুহূর্তের ভিড় এড়াতে ছাত্রছাত্রীদের নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আবেদনপত্র জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
কল্যান পরিদপ্তরের পরিচালক কুলশ্রী নাথ জানিয়েছেন, ‘‘পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতিটি মেধাবী শিক্ষার্থীকে আর্থিক সঙ্কটের কারণে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হতে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।’’ তিনি আরও জানান, এ বছর নতুন ও পুনর্নবীকরণ উভয় ধরনের আবেদনপত্রই গ্রহণ করা হচ্ছে। তপশিলি ছাত্রছাত্রীদের জন্য নবম–দশম শ্রেণির প্রাক-ম্যাট্রিক, পোস্ট-ম্যাট্রিক ও অন্যান্য কঠিন পেশায় নিয়োজিত পিতামাতার সন্তানদের জন্য প্রথম–দশম শ্রেণির প্রাক-ম্যাট্রিক বৃত্তি এবং অনগ্রসর শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য নবম–দশম শ্রেণির প্রাক-ম্যাট্রিক ও পোস্ট-ম্যাট্রিক বৃত্তি চালু রয়েছে।
আবেদনকারীদের বৈধ জাতীয় শংসাপত্র এবং কার্যকরী আধার সংযুক্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা আবশ্যক। অধিকাংশ প্রকল্পের ক্ষেত্রে পিতামাতা বা অভিভাবকের বার্ষিক আয় ২.৫ লক্ষ টাকার মধ্যে থাকতে হবে। তবে অন্যান্য কঠিন পেশায় নিয়োজিত পিতামাতার তপশিলি ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে আয়ের ঊর্ধ্বসীমা প্রযোজ্য নয়।
চলতি বছর জাতীয় বৃত্তি পোর্টালে আবেদনকারীদের জন্য ‘ওয়ান টাইম রেজিস্ট্রেশন’ (OTR) বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, যা গুগল প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা OTR অ্যাপের মাধ্যমে মুখ্য সনাক্তকরণ ব্যবহার করে সম্পন্ন করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়ার প্রতিষ্ঠান-স্তরের যাচাই ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে।
বিস্তারিত তথ্য ও নির্দেশিকা NSP ওয়েবসাইটে (https://scholarships.gov.in) পাওয়া যাবে। অসম সরকারের এই উদ্যোগ শিক্ষা ও অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলিকে সবল ও স্বাবলম্বী করার অঙ্গীকারকেই আরও মজবুত করছে।
অসম সরকারের এ উদ্যোগ কে সকলেই সাধুবাদ জানান এবং সরকারের উন্নয়ন মুখী চিন্তাধারার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
