সংবাদ সংস্থা, ১৮ জুলাই :- বিদেশে মৃত্যুদণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত ভারতীয়দের সংখ্যা বেড়ে চলেছে, যার মধ্যে কেরালার নার্স নিমিশা প্রিয়াও রয়েছেন। ইয়েমেনে নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে, কিন্তু তার ভাগ্য এখনও অনিশ্চিত। কেরালার নার্স নিমিশা প্রিয়া ইয়েমেনে একজন ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যা করার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।তার মৃত্যুদণ্ড ১৬ জুলাই কার্যকর হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ভারত সরকারের হস্তক্ষেপ এবং কিছু ধর্মীয় নেতার প্রচেষ্টায় তা স্থগিত করা হয়েছে। তবে, নিহত ব্যক্তির পরিবার এখনও ক্ষতিপূরণ নিতে রাজি নয় এবং ‘কিসাস’ (বদলা) চাইছে। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে ভারত সরকারকে সমস্ত সম্ভাব্য সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছে। ইয়েমেনের শরিয়া আইন অনুযায়ী, যদি নিহতের পরিবার ‘ব্লাড মানি’ (ক্ষতিপূরণ) গ্রহণ করতে
রাজি হয়, তাহলে মৃত্যুদণ্ড মকুব হতে পারে। সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ৪৯ জন ভারতীয় বর্তমানে
বিশ্বের আটটি দেশে মৃত্যুদণ্ডের সম্মুখীন। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE)-তে ২৫ জন সৌদি আরবে ১১ জন, মালয়েশিয়ায় ৬ জন, কুয়েতে ৩ জন মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় এবং ইন্দোনেশিয়া, কাতার, আমেরিকা ও ইয়েমেনে একজন করে ভারতীয় মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় রয়েছেন। ভারত সরকার এই ভারতীয় নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আইনগত সহায়তা প্রদান, কনস্যুলার ভিজিট এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা হচ্ছে। তবে, কিছু দেশে, যেমন ইয়েমেনে, ভারতের সরকারি হিসেবে কূটনৈতিক উপস্থিতি না থাকায় সমস্যা আরও জটিল হয়ে উঠছে। মূল কথা ভারতবর্ষ ই হলো মানবতার দেশের নজির,বাকি অন্যদেশ নয় তা আবারও প্রমাণিত হতে চলছে। ভারতে বিদেশী অপরাধীদের ও মৃত্যুদণ্ড থেকে রেহাই দেওয়া যেতে পারে কিন্তু বিদেশে এই মানবীয় বিচারব্যবস্থা নেই। ভূল মানেই অপরাধ মানেই মৃত্যুদণ্ড।তাই আজ ও ভারতবর্ষ সার্বভৌমত্ব মানবতার রাষ্ট্র হিসেবে পরিগণিত।