সংবাদ সংস্থা, ১৮ জুলাই :- রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই জঙ্গি সংগঠনের এই সক্রিয়তা শুধু বাংলাদেশ নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার উপর চরম ক্ষোভ করেন। বাংলাদেশি নাগরিকের টিটিপিতে যোগদানের প্রমাণ। কিন্তু ঘুণাক্ষরেও নাকি টের পায়নি ইউনূস প্রশাসন। পাকিস্তানে ত্রাস সৃষ্টি করে এবার বাংলাদেশে নকশা কষছে ‘তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান’ (TTP)। পাকিস্তানে বহু বছর অশান্তি ছড়ানোর পর, জিহাদি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান এখন বাংলাদেশে নিজেদের প্রভাব বিস্তার ও সদস্য সংগ্রহের চেষ্টায় রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে ৪,০০০ কিমি-রও বেশি দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া বাংলাদেশে টিটিপি-র কার্যকলাপ দিল্লির জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠতে পারে। পরিস্থিতিকে আরও গুরুতর করে তুলেছে, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এই হুমকিকে কার্যত অগ্রাহ্য করা। ঢাকার সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে দুজন টিটিপি সদস্য আফগানিস্তানে গিয়েছেন। তাদের একজন ২০২৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে সেনাবাহিনীর অভিযানে নিহত হন। অন্যজনকে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশি নিরাপত্তা বাহিনী। এই ঘটনার মধ্যেই জুন মাসে মালয়েশিয়া ৩৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে, যাদের বিরুদ্ধে জঙ্গি নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই সন্দেহভাজন জঙ্গি, শামিন মাহফুজ এবং মহম্মদ ফয়সালকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পাকিস্তানি তালিবান গোষ্ঠী TTP-র সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত। বাংলাদেশের ‘ডেইলি স্টার’ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে শামিন মাহফুজ একজন কুখ্যাত জঙ্গি। তিনি একাধিক জঙ্গি সংগঠনের নেতা ছিলেন৷ JMB ও জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। টিটিপি মূলত পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে, পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত অঞ্চলে কার্যক্রম চালায়। টিটিপি-র তৎপরতা বৃদ্ধির খবর সামনে আসছে এমন সময়ে, যখন বাংলাদেশে দেশীয় জিহাদি গোষ্ঠীগুলিও নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠছে – বিশেষ করে ২০২৪ সালের আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর।
বাংলাদেশের মাটিতে বসেই জঙ্গি রিক্রিউট করছে, নির্বিকার ইউনূস প্রশাসন: রিপোর্ট তলব
