খাদ্যের অভাবে সংসার প্রতিপালনে অক্ষম গিরিবাসিরা, “ছেড়ে দে মা খেয়ে বাঁচি” দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী
যুববিচিত্রা প্রতিনিধি,ত্রিপুরা,২৭মার্চ: দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন “সব কা সাথ সব কা বিকাশ” অন্যদিকে, গরিবি ওটাও দেশ বাঁচাও। কি আসলে বাস্তবায়িত হচ্ছে মোদী জি র স্বপ্ন?? না কি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন রাজ্যে এবং রাজধানীতে ই সীমাবদ্ধ? প্রকৃত হিতাধিকারী র কাছে পৌঁছাচ্ছে কি স্বপ্নের প্রকল্প!আজ ও দূর্লভ দৃশ্য যুব বিচিত্রা র বিশেষ প্রতিনিধি র লেখনি তে বন্দী ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার প্রত্যন্ত জনজাতি অঞ্চলের।


বর্তমান ত্রিপুরা রাজ্য সরকার উপজাতি অধ্যুষিত এলাকা গুলিতে উন্নয়নের ঢাকঢোল পেটালেও আদতে জনজাতি অধ্যুষিত প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য ও খাদ্যের, তা ঐ সকল এলাকাগুলিতে পা রাখলে বোঝা যায়। ত্রিপুরা রাজ্যের কেবিনেট মন্ত্রী বিকাশের 29 নং কৃষ্ণপুর বিধান সভা এলাকার ৪৭মাইল অর্থাৎ ১৮ মোড়া পাহাড়ে দেখা গেল এক দূর্লভ দৃশ্য। খাদ্যের অভাবে সংসার প্রতিপালনে এখনো যে গিরি বাসিরা অক্ষম তা বলাই বাহুল্য। এমনটাই দৃশ্য পরিলক্ষিত হয় যে “ছেড়ে দে মা খেয়ে বাঁচি”। ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার প্রত্যন্ত এলাকা বলে পরিচিত থাকলেও তেলিয়ামুড়া মহকুমা মুঙ্গিয়াকামি আরডি ব্লকের অধীন আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের পাশেই অবস্থিত ১৮ মুড়া পাহাড়ের পাদদেশ ১৮ মুড়া এ ডি টি ভিলেজের ৪৫ মাইল থেকে শুরু করে ৪৮ মাইল এলাকায়। খিদের জ্বালায় যখন ছন্নছাড়া ভাব তখন পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ থেকে কচিকাঁচা শিশুরাও খিদের জ্বালায় অস্থিরতা নিবারণের জন্য পরিবারের একে অপরের হাত ধরে বিভিন্ন কাজে লিপ্ত হতে দেখা যায়। কাজটি সমাজবিরোধী কিংবা সমাজের স্বার্থে তা বুঝার সময় নেই,তারণা হলো খিদের জ্বালা নিবারণের। আইন কানুনের নীতিকে তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন সময়ে অসামাজিক কার্যকলাপে ও লিপ্ত হতে পিছপা হয় না অভাবি পরিবার। কি করে সংসার প্রতিপালন হবে? কিভাবে ক্ষুধার্ত জীবনের অন্ন যোগান হবে ? অভাগা জীবনের এক দৃশ্য পরিলক্ষিত হল ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি আরডি ব্লকের অধীন ১৮ মুড়া পাহাড়ের সমীপে। উপজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা এবং স্ব-শাসিত জেলা পরিষদের ই.এম কমল কলইয়ের নির্বাচিত এলাকা ১৮মুড়া এডিসি ভিলেজের ৪৫ মাইল থেকে ৪৭ মাইল এলাকার দূর্লভ দৃশ্য কি তাদের চোখে পড়ে না? নাকি ভোট আসলে আগের দিন রাতে খাওয়া যোগার দিলেই বাক্সে ভোট , পড়ে কে কাদের খবর রাখে? ভোট আসে ভোট যায় কিন্তু পরিবর্তন আসে না এসব উপজাতি অধ্যুষিত অঞ্চল গুলিতে!
আজ ও সেই পরাধীনতার গণ্ডিতে আবদ্ধ পাহাড়ের জনজাতি – উপজাতি সমাজ। অভাবের তাড়নায় পরিবার পরিজন নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন অতি দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে ত্রিপুরা রাজ্যের খোয়াই জেলার প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন পূরণ করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নামতে হবে মুখ্যমন্ত্রী থেকে কেবিনেট মন্ত্রী দ্বয়ের, তবে ই সেই অদ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী র স্বপ্ন পূরণ হবে, নচেৎ অসম্ভব!