সংবাদ সংস্থা, ২৬ আগস্ট :- রবিবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সম্পন্ন হয় ।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করলেন পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ওই বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে প্রবল উৎসাহ থাকলেও বৈঠকের ফল প্রায় শূন্যই বলা যায়। কারণ একাত্তরের যে অমীমাংসিত ইস্যু তার কোনও কিনারা হয়নি। পাকিস্তানের উপরে বাংলাদেশের যে ক্ষোভ রয়েছে তা প্রশমন করতে পারেননি ইসহাক দার। রবিবার ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়। ওই বৈঠকের আলোচনা নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, বৈঠকে নিজেদের অবস্থান আমরা তুলে ধরেছি। তিনটি বিষয়ে কথা বলেছি। দুই পক্ষই বলেছি, এ বিষয়গুলোকে আমাদের সমাধান করতে হবে। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক যাতে মসৃণভাবে এগোতে পারে, সে জন্য বিষয়গুলোকে পেছনে ফেলতে হবে। এনিয়ে আরও কথা হবে। উল্লেখ্য, পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার দাবি করেছেন, পকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে পড়ে থাকা অমীমাংসিত বিষয়গুলো দুবার সমাধান হয়েছে। ওই মন্তব্যেই চাপে পড়ে যান তৌহিদ হোসেন। বাধ্য হয়েই তিনি যা বলেন তার মোদ্দা কথা হল, পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দাবির সঙ্গে তিনি একমত নন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ চায়, হিসাবহোক। আর্থিক বিষয়টি সমাধান হোক। আমরা চাই, এখানে যে গণহত্যা হয়েছে, সেটার ব্যাপারে দুঃখ প্রকাশ করুক পকিস্তান। আমরা চাই, আটকে পড়া মানুষগুলোকে তারা ফেরত নেবে। বাংলাদেশের অবস্থান শক্তভাবে তুলে ধরে হয়েছে।
দুদেশের মধ্যেকার বিবাদমান মূল বিষয়গুলোর কোনও সমাধান না হওয়া নিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ৫৪ বছরের সমস্যা একদিনের বৈঠকে সমাধান আশা করা যায় না। আমরা পরস্পরের অবস্থান কথা খোলা মনেই বলেছি। মতানৈক্যের মাঝে বৈঠক সম্পন্ন হলেও সমাধান সেই অধরাই রয়ে গেছে।