ট্রাম্প চাপালেন ভারতের উপর শুল্ক, আর তাতেই থামলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ? আশ্চর্য অঙ্কটা জানলে?

সংবাদ সংস্থা ,২১ আগস্ট :- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর শুল্কের হার দ্বিগুণ করেছে। দাঁড়িয়েছে ৫০% শতাংশ। আগে ২৫% শুল্ক ছিল, এর সঙ্গে অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক যোগ করা হয়েছে। পরের ধাপের শুল্ক প্রণয়নটি বিশেষভাবে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত। কীভাবে?

ইউক্রেন যুদ্ধ (Ukraine War) বন্ধ করতে ভারতের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হোয়াইট হাউস (White House)! হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এই খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বয়ান অনুযায়ী, হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়াকে ‘ঘুরিয়ে চাপ’ দেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করেছে।

শুল্ক বৃদ্ধি :-

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের শুল্কের হার দ্বিগুণ করে ৫০% করেছে। আগে ২৫% শুল্ক ছিল, এর সঙ্গে অতিরিক্ত ২৫% শুল্ক যোগ করা হয়েছে। এই নতুন শুল্কটি বিশেষভাবে ভারতের রুশ তেল কেনা চালিয়ে যাওয়ার সঙ্গে যুক্ত।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতি :-

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন, এই শুল্কগুলি মস্কোর উপর চাপ সৃষ্টির জন্য প্রশাসনের বৃহত্তর কৌশলেরই অংশ।

উদ্দেশ্য :-

শুল্ক আরোপের মূল উদ্দেশ্য হল, রাশিয়াকে পরোক্ষভাবে চাপ দেওয়া। আর সেটা করতে গিয়ে এমন একটি দেশকে লক্ষ্য করা যারা কম মূল্যে রুশ অপরিশোধিত তেল কেনে। মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ভারতকে এই বাণিজ্য থেকে মুনাফাখোরি করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। যদিও ভারত এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

ভারতের প্রতিক্রিয়া :-

ভারত এই শুল্ককে “অন্যায্য এবং অযৌক্তিক বলে সমালোচনা করেছে আগেই। ভারত বলেছে, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাজারের উপর ভিত্তি করে হয়েছে এবং এটি দেশের জ্বালানি সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য।

চিনের অবস্থান :-

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু চিনের উপর একই ধরনের শুল্ক আরোপ করেনি। যদিও চিনও রুশ তেলের শীর্ষ ক্রেতা। আর এরই জেরে আমেরিকার প্রতি ভারত সরকার কপটতার অভিযোগ এনেছে। আর ভারতের এই সমালোচনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেরও কানে পৌঁছেছে।

কূটনৈতিক প্রেক্ষাপট :-

শুল্ক আরোপের এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এসেছে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শান্তি স্থাপনের জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, যার মধ্যে মার্কিনি রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠক এবং এর আগে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটি বৈঠকও রয়েছে।