চিনের ‘ওয়াটার বম্ব’! তিব্বতে ব্রহ্মপুত্রের উপর দানব বাঁধ, সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত, ব্রহ্মপুত্রের জলের নিয়ন্ত্রণ এবার চিনের হাতে

সংবাদ সংস্থা, ২১ জুলাই :- অরুণাচলে প্রবেশের আগে ব্রহ্মপুত্র নদ ইউ এর মতো আকৃতি নিয়েছে। সেখানেই তৈরি হচ্ছে বিশাল এই বাঁধ। যেখানে এই বাঁধ তৈরি হচ্ছে সেটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা
সিকান্দর আবু জ়াফর I

তিব্বতে উৎপত্তি হয়েছে সাংপো নদ। ভারতে ঢোকার পর সেটিই হয়ে গিয়েছে ব্রহ্মপুত্র। এবার তিব্বতে সেই নদের উপরে বিশাল বাঁধ নির্মাণ শুরু করল চিন। শনিবার বাঁধ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে ছিলেন চিনা প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং। খরচ হচ্ছে ১৬৭.৮ বিলিয়ন ডলার। ওই বাঁধ তৈরি হয়ে গেলে ব্রহ্মপুত্রের জলের নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে চিনের হাতে। এতে প্রবল ক্ষতির মুখ পড়তে পারে অরুণাচল প্রদেশ-সহ ভারতের একাংশ।
গত ডিসেম্বর মাসে তিব্বতে ওই বাঁধ নির্মাণে সবুজ সংকেত দিয়ে চিনা সরকার। এটি তৈরি হয়ে গেলে এটিই হবে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় এই ধরনের বাঁধ। মূল জলবিদ্যু্ৎ উৎপাদন করা হবে এই বাঁধের জল থেকে। তৈরি করা হবে ৫টি জলবিদ্যুৎ তৈরির ইউনিট। ওই পাঁচটি ইউনিট তৈরি হয়ে গেলে সেখান থেকে বছরে ৩০০ কিলোওয়াট আওয়ারস বিদুৎ তৈরি হবে। ওই বিদ্যুতে ৩০ কোটি মানুষের ঘরে বিদ্যু্ত সরবারহ করা যেতে পারে। অরুণাচলে প্রবেশের আগে ব্রহ্মপুত্র নদ ইউ এর মতো আকৃতি নিয়েছে। সেখানেই তৈরি হচ্ছে বিশাল এই বাঁধ। যেখানে এই বাঁধ

তৈরি হচ্ছে সেটি ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। ফলে ভূমিকম্পের ফলে যদি কোনওভাবে এই বাঁধ ভেঙে যায় তাহলে বিশাল প্রকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসবে অরুণচল ও বাংলাদেশে। পাশাপাশি জলের নিয়ন্ত্রণ চিনের হাতে চলে যাবে। ফলে গোটা বিষয়টি ভাবাচ্ছে ভারতকে। এমাসের প্রথমেই এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু। তিনি বলেছিলেন চিনের ওই বাঁধ ভারতের জন্য একটা ওয়াটার বম্ব। চিনকে কোনওভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। তার ওই বাঁধটিকে ওয়াটার বম্ব হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। এবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে ব্রহ্মপুত্রের নিয়ন্ত্রণ!