বাতিল প্রায় ২৬ হাজার চাকরিই! এসএসসি-র পুরো প্যানেল বাতিল

হাহাকার বাংলা, আকস্মিক নির্দেশনা সুপ্রিম কোর্টের

যুব বিচিত্রা প্রতিনিধি, কলকাতা,৫ এপ্রিল: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রাখলো সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৬ সালে এসএসসি-র নিয়োগে পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হল। দেশের শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, গোটা প্রক্রিয়ায় কারচুপি করা হয়েছে, কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই। অর্থাৎ প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং অন্যান্য শ্রেণীর কর্মীর নিয়োগ বাতিলের হাই কোর্টের সিদ্ধান্তে বৃহস্পতিবার মান্যতা দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার কোনও প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি না। আদালতের নির্দেশ, আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
এনিয়ে রীতিমতো হাহাকার বাংলা র সরকারি কর্মচারী মহল, অস্তিত্ব সংকট চূড়ান্ত।

রায়ে বলা হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। ২০১৬ সালে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারবেন। যাঁরা অন্য সরকারি চাকরি ছেড়ে ২০১৬ সালের এসএসসির মাধ্যমে স্কুলের চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁরা পুরনো চাকরিতে ফিরে যেতে পারবেন। চিহ্নিত অযোগ্যরা আর পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে তাঁদের। কীভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া হবে, কারা পরীক্ষায় বসতে পারবেন, সে বিষয়ে এখনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।
২০১৬ সালের এসএসসি-র শিক্ষক ও অনাশিক্ষক কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এই সংক্রান্ত শুনানির পর কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০২৪ সালের ২২ এপ্রিলের রায়ে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে দিয়েছিল। এর ফলে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি যায়। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং এসএসসি। আদালতে সিবিআই জানিয়েছিল, অনেকেই সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। এছাড়াও এসএসসির দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, ব়্যাঙ্ক জাম্প এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি জন চাকরি পেয়েছিলেন। গত ১০ ফেব্রুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে শেষ হয়েছিল এই মামলার শুনানি। বুধবার শীর্ষ আদালত জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। সেই মতোই ঘোষণা হল রায়। এখন লক্ষণীয় বিষয় এই ২৬ হাজার কর্মচারীর দায়িত্ব কে নেয়? বা বাংলার সরকার ওদের কতটুকু নিরাপত্তা প্রদানে সক্ষম!