উত্তর – পূর্বাঞ্চলের রেল পরিবহন ব্যবস্থাকে সহজতর করে তুলতে ডিব্রুগড় – নাহরলগুন পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশন চালু

জনসংযোগ, মালিগাঁও, ১৭ জুলাই :- আধুনিকীকরণ এবং স্থায়িত্বর দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে উত্তর পূর্বের দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ডিব্রুগড় এবং নাহরলগুন পর্যন্ত সফলভাবে নিরবচ্ছিন্ন এন্ড-টু-এন্ড বৈদ্যুতিক ট্যাকশন লাভ করেছে। এই রূপান্তরমূলক উন্নয়ন ব্রহ্মপুত্র নদীর উত্তর ও দক্ষিণ উভয় তীরে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের বৈদ্যুতিকরণের প্রচেষ্টায় একটি বড় সাফল্য বলা যেতে পারে।

ডিব্রুগড় রাজধানী এক্সপ্রেস এবং অরুণাচল এসি এক্সপ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি এখন নতুন বৈদ্যুতিকৃত রুটগুলির মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনে চলতে শুরু করেছে, যার মধ্যে রয়েছে উত্তর তীরে রঙিয়া রাঙাপাড়া নর্থ লখিমপুর সেকশন। এছাড়াও, শিবসাগর রুটে বৈদ্যুতিক চলাচল শুরু হয়েছে, যার ফলে মরানহাট হয়ে ডিব্রুগড়, উত্তর তীর এবং তিনসুকিয়া হয়ে দক্ষিণ তীর তিনটি প্রধান রুটই এখন সম্পূর্ণরূপে বৈদ্যুতিকরণ হয়েছে।

এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আপ্রাণ প্রচেষ্টার মাধ্যমে, যারা চ্যালেঞ্জিং রুটগুলিতে এই জটিল বৈদ্যুতিকরণ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। এই সেকশনে আধুনিক ডব্লিউএপি-৭ বৈদ্যুতিক লোকোমোটিভগুলির বাধাহীন পরিচালন রঙিয়া, লামডিং এবং তিনসুকিয়া ডিভিশনের টিমের অপারেশনাল প্রস্তুতি এবং সমন্বয়কে তুলে ধরে।

তিনসুকিয়া সেকশনের বৈদ্যুতিকরণের ফলে, বিশেষ করে দক্ষিণ তীর, ট্রেন চলাচলে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ডিজেল থেকে বৈদ্যুতিক ট্র্যাকশনে রূপান্তরের মাধ্যমে সময়ানুবর্তিতা এবং গতিতে লক্ষণীয় অগ্রগতি হয়েছে, পরিষেবার নির্ভরযোগ্যতা উন্নত হয়েছে এবং চলাচল খরচে যথেষ্ট সাশ্রয় হয়েছে। এই পরিবর্তন জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা হ্রাস করে এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করে পরিবেশগত স্থায়িত্বের ক্ষেত্রেও অবদান রাখে। বৈদ্যুতিকরণ এবং নেট-জিরো কার্বন নির্গমন অর্জনের বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গির অনুরূপ।